proggapath, progga, bangla literature, bangla kobita, bangla golpo, babgla story, romantic golpo, প্রজ্ঞাপাঠ, সৈয়দ আলী আহসান, Syed Ali Ahsan, ফররুখ আহমদ, Farrukh Ahmed, Farrukh Ahmeder baisistya, ফররুখ আহমদের বৈশিষ্ট্য

ফররুখ আহমদের বৈশিষ্ট্য

০ মন্তব্য দর্শক

শব্দ ও ধ্বনির সম্পৃক্ততা বিষয়ে ফররুখ অবগত ছিলেন। সেই সম্পৃক্ততার ফলে যে অর্থবহতা নির্মিত হয় তাও তিনি জানতেন। ব্যাপক পড়াশুনা তাঁর ছিল, বিশেষ করে ‘হাতেম তা’য়ী’ পাঠ করলে তা বোঝা যায়। অনেক দোভাষী পুঁথি তিনি পড়েছেন, বিশেষ করে বিভিন্ন কাহিনীর গতিধারা অনুসন্ধানের জন্য। তিনি যে সমস্ত দোভাষী পাঠ করতেন তাহলো হাতেম তাঈ, কাসাসুল আম্বিয়া, আলেফ লায়লা ইত্যাদি। সেগুলো অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়তেন। শুধুমাত্র কাহিনীর গতিধারা নির্ণয়ের জন্য নয়, অধিকন্তু শব্দের বৈচিত্র্য এবং প্রবাহের জন্য। আমি অনেকবার তাকে বলেছি যে, দোভাষী পুঁথিতে একমাত্র কাহিনী বিন্যাসই লক্ষ্যযোগ্য। দোভাষী পুঁথির শব্দ ব্যবহার এবং সেখানকার অর্থবহতা আমাদের আলোচ্য বিষয় হতে পারে না। তার কারণ শব্দের অর্থ নির্ণয় তাদের লক্ষ্য ছিল না। পুঁথিকারগণ তাদের কাহিনী বর্ণনার ব্যস্ততায় নিমগ্ন ছিলেন । ফররুখ আমার কথা মানতেন না। তিনি মন্তব্য করতেন যে, পুঁথিকারগণ বাংলা শব্দের ধ্বনির সঙ্গে আরবি-ফারসি-উর্দু ধ্বনির ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ততা ঘটিয়েছেন। এটা অত্যন্ত সাহসের কথা। এই মিশ্রণের ফলে যে রকম ধ্বনি-ব্যঞ্জনা গড়ে উঠেছে তা নতুন ।

দুঃখের বিষয়, বাংলা কাব্যে এর অনুসৃতি আর কখনও হল না। ভারতচন্দ্রের সময়কালে এবং তার পরে ভুরশুট পরগণায় দোভাষী পুঁথির কবিগণের বসবাস ছিল। মনে হয় এই অঞ্চলে সেই মিশ্রিত ভাষার প্রচলন ছিল। প্রচলন থাকুক বা না থাকুক এই ভাষার বিকাশ যে ছিল তা বোঝা যায়। ভারতচন্দ্র নিজেই লিখেছেন :

না রবে প্রসাদগুণ না হবে রসাল
অতএব কহি ভাষা যাবনী-মিশাল।
প্রাচীন পন্ডিতগণ গিয়াছেন কয়ে
যে হৌক সে হৌক ভাষা কাব্যরসলয়ে।

অর্থাৎ কবিতায় প্রসাদগুণ তৈরি করতে হলে আরবি-ফারসি শব্দের মিশ্রণ অত্যন্ত প্রয়োজন। ফররুখ সেই প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেছিলেন এবং নিজের কবিতায় তা অর্থবহতায় ব্যবহার করেছিলেন। কবিতার সৌন্দর্যের জন্য তিনি যে ছন্দ ব্যবহার করেছিলেন তা কিন্তু দোভাষী পুঁথির ছন্দ নয়। বাংলা ছন্দের প্রচলিত ধারার মধ্যে তিনি আরবি-ফারসি শব্দের প্রয়োজনগত যে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন তা আধুনিক বাংলা কবিতার ক্ষেত্রে নতুন। ফররুখের কবিতার বলিষ্ঠতা, সাবলীলতা, গীতিধর্মিতা এবং আবেগের অনুশীলন আশ্চর্যজনকভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং শ্রুতিমধুর। মূলত ফররুখ বাংলা কাব্য-ক্ষেত্রে অনুশীলনের পরিচয় দিয়েছিলেন এবং তা তাঁর কাব্য প্রবাহে নতুন ব্যঞ্জনার সৃষ্টি করেছিল। তাঁর কবিতার রূপকল্পে একটি প্রশান্ত বরাভয় ছিল। ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্য গ্রন্থের কবিতাগুলো পাঠ করলেই তা বোঝা যায়।

ফররুখ ইসলামী কবি ছিলেন, না শুধু কবি ছিলেন এ আলোচনা নিরর্থক। তার কারণ ফররুখের কবিতা সকল শ্রেণীর পাঠকের কাছেই গ্রহণযোগ্য ছিল । তাঁর বিষয়বস্তু ছিল একটি বলিষ্ঠ আবেগ যে আবেগের আবেদন ছিল অত্যন্ত গভীর এবং অত্যন্ত প্রাণবন্ত। তার বন্ধু সুভাষ মুখোপাধ্যায় একবার আমাকে বলেছিলেন, ফররুখ কোন বিষয়ে লিখছে তা আমার বিচার্য বিষয় নয়। কোন তাৎপর্যে তার শব্দগুলো বিভিন্ন চরণ- বিন্যাসে দোলায়িত হচ্ছে তাই আমি দেখব। এভাবে আমরা ফররুখকে সকল শ্রেণীর পাঠকের কবি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি। ‘সাত-সাগারের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থে সমুদ্র- যাত্রা পথে যে বিভিন্ন অনুষঙ্গ এসেছে তাদের রূপ-লাবণ্য অত্যন্ত মধুর। তিনি যে সমস্ত কবিতা লিখেছেন তার মধ্যে ইসলাম ধর্মের শক্তি এবং বিনয় প্রকাশিত হয়েছে কিনা অনেকের কাছে তা বিচার্য বিষয় হতে পারে এবং তা অন্যায়ও নয় ।

আমি কিন্তু ফররুখকে অন্যভাবে দেখি। যৌবনের উদ্বেলিত আনন্দের একজন গতিমান কবি হিসেবেই আমি তাঁকে বিচার করি। সাত-সাগরের মাঝি’ তে একটি যাত্রার বর্ণনা আছে। জেমস এলোবি ফ্লেকার যে ধরনের কবিতা লিখেছেন, ফররুখের কবিতার সঙ্গে তার মিল। ফ্লেকার বলেছিলেন, আমরা স্বর্ণখচিত পথ ধরে সমরখন্দ ভূ- খন্ডের দিকে যাত্রা করছি। ফররুখ লিখেছেন, আমি সাত সাগর পার হয়ে হেবার রাজতোরণের দিকে যাচ্ছি। প্রায় একই রকমের আবেগ দু’জনের কবিতায় আছে। তফাৎ শুধু এটুকুই ফ্লেকারের কবিতায় শুধুমাত্র একটি সৌন্দর্য সৃষ্টি আছে, ফররুখের কবিতায় সত্য ও বিশ্বাসের অনুষঙ্গ হিসেবে সৌন্দর্য প্রস্ফুটিত হয়েছে।

ফররুখের সকল কবিতার মধ্যে দীর্ঘ পথযাত্রার বিবরণ আছে। যেমন সাত সাগরের মাঝিতে দীর্ঘ সমুদ্র যাত্রা আছে, তেমনি হাতেম তা’য়ী কাব্যগ্রন্থে বিভিন্ন দুর্গম পথযাত্রা আছে। এই পথযাত্রা অথবা সমুদ্র-যাত্রা ফররুখের কবিতার একটা মৌলিক বিষয় । হোমারের ‘ওডিসি’ মহাকাব্যে যেমন সমুদ্র যাত্রা প্রাধান্য পেয়েছে এবং সমুদ্র-পথের বিভিন্ন সংকট অতিক্রম করে অবশেষে ইউলিসিস নিজ গৃহে ফিরে আসছেন, তেমনি ফররুখ আহমদ বিভিন্ন যাত্রার শেষে শান্তি এবং আশ্বাসের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করছেন। আমি এভাবেই ফররুখকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিচরণ করতে দেখি। এই বিচরণের কারণ হল সে সর্বপ্রকার সংক্ষুব্ধতা অতিক্রম করতে চায়, বিপর্যয় অতিক্রম করতে চায় এবং অবশেষে শান্তির রাজ্যে গমন করতে চায়।

আমার ধারণায় ফররুখ একজন পর্যবেক্ষণকারী দুর্গম পথযাত্রার কবি। আমি তাঁকে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের আবহে গ্রহণ করতে চাই না। আমি তাঁকে গ্রহণ করতে চাই সত্য, শৃংখলা এবং সৌন্দর্যের আবহে। এই আবহ তাঁর কবিতায় একটি সুকুমার ছন্দ এবং সৌন্দর্যের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছিল। এভাবেই ফররুখ আমাদের কাছে একটি প্রশান্ত আবেগের কবি, সৌন্দর্যের কবি এবং সৌন্দর্যের মহিমাময় নিদর্শনের কবি। এভাবেই তাঁকে বিচার করতে হবে এবং গ্রহণ করতে হবে।

সর্ব্বশেষ প্রকাশিত

ফররুখ আহমদের বৈশিষ্ট্য

দর্শক

শব্দ ও ধ্বনির সম্পৃক্ততা বিষয়ে ফররুখ অবগত ছিলেন। সেই সম্পৃক্ততার ফলে যে অর্থবহতা নির্মিত হয় তাও তিনি জানতেন। ব্যাপক পড়াশুনা তাঁর ছিল, বিশেষ করে ‘হাতেম তা’য়ী’ পাঠ করলে তা বোঝা যায়। অনেক দোভাষী পুঁথি তিনি পড়েছেন, বিশেষ করে বিভিন্ন কাহিনীর গতিধারা অনুসন্ধানের জন্য। তিনি যে সমস্ত দোভাষী পাঠ করতেন তাহলো হাতেম তাঈ, কাসাসুল আম্বিয়া, আলেফ লায়লা ইত্যাদি। সেগুলো অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে পড়তেন। শুধুমাত্র কাহিনীর গতিধারা নির্ণয়ের জন্য নয়, অধিকন্তু শব্দের বৈচিত্র্য এবং প্রবাহের জন্য। আমি অনেকবার তাকে বলেছি যে, দোভাষী পুঁথিতে একমাত্র কাহিনী বিন্যাসই লক্ষ্যযোগ্য। দোভাষী পুঁথির শব্দ ব্যবহার এবং সেখানকার অর্থবহতা আমাদের আলোচ্য বিষয় হতে পারে না। তার কারণ শব্দের অর্থ নির্ণয় তাদের লক্ষ্য ছিল না। পুঁথিকারগণ তাদের কাহিনী বর্ণনার ব্যস্ততায় নিমগ্ন ছিলেন । ফররুখ আমার কথা মানতেন না। তিনি মন্তব্য করতেন যে, পুঁথিকারগণ বাংলা শব্দের ধ্বনির সঙ্গে আরবি-ফারসি-উর্দু ধ্বনির ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ততা ঘটিয়েছেন। এটা অত্যন্ত সাহসের কথা। এই মিশ্রণের ফলে যে রকম ধ্বনি-ব্যঞ্জনা গড়ে উঠেছে তা নতুন ।

দুঃখের বিষয়, বাংলা কাব্যে এর অনুসৃতি আর কখনও হল না। ভারতচন্দ্রের সময়কালে এবং তার পরে ভুরশুট পরগণায় দোভাষী পুঁথির কবিগণের বসবাস ছিল। মনে হয় এই অঞ্চলে সেই মিশ্রিত ভাষার প্রচলন ছিল। প্রচলন থাকুক বা না থাকুক এই ভাষার বিকাশ যে ছিল তা বোঝা যায়। ভারতচন্দ্র নিজেই লিখেছেন :

না রবে প্রসাদগুণ না হবে রসাল
অতএব কহি ভাষা যাবনী-মিশাল।
প্রাচীন পন্ডিতগণ গিয়াছেন কয়ে
যে হৌক সে হৌক ভাষা কাব্যরসলয়ে।

অর্থাৎ কবিতায় প্রসাদগুণ তৈরি করতে হলে আরবি-ফারসি শব্দের মিশ্রণ অত্যন্ত প্রয়োজন। ফররুখ সেই প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেছিলেন এবং নিজের কবিতায় তা অর্থবহতায় ব্যবহার করেছিলেন। কবিতার সৌন্দর্যের জন্য তিনি যে ছন্দ ব্যবহার করেছিলেন তা কিন্তু দোভাষী পুঁথির ছন্দ নয়। বাংলা ছন্দের প্রচলিত ধারার মধ্যে তিনি আরবি-ফারসি শব্দের প্রয়োজনগত যে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন তা আধুনিক বাংলা কবিতার ক্ষেত্রে নতুন। ফররুখের কবিতার বলিষ্ঠতা, সাবলীলতা, গীতিধর্মিতা এবং আবেগের অনুশীলন আশ্চর্যজনকভাবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং শ্রুতিমধুর। মূলত ফররুখ বাংলা কাব্য-ক্ষেত্রে অনুশীলনের পরিচয় দিয়েছিলেন এবং তা তাঁর কাব্য প্রবাহে নতুন ব্যঞ্জনার সৃষ্টি করেছিল। তাঁর কবিতার রূপকল্পে একটি প্রশান্ত বরাভয় ছিল। ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্য গ্রন্থের কবিতাগুলো পাঠ করলেই তা বোঝা যায়।

ফররুখ ইসলামী কবি ছিলেন, না শুধু কবি ছিলেন এ আলোচনা নিরর্থক। তার কারণ ফররুখের কবিতা সকল শ্রেণীর পাঠকের কাছেই গ্রহণযোগ্য ছিল । তাঁর বিষয়বস্তু ছিল একটি বলিষ্ঠ আবেগ যে আবেগের আবেদন ছিল অত্যন্ত গভীর এবং অত্যন্ত প্রাণবন্ত। তার বন্ধু সুভাষ মুখোপাধ্যায় একবার আমাকে বলেছিলেন, ফররুখ কোন বিষয়ে লিখছে তা আমার বিচার্য বিষয় নয়। কোন তাৎপর্যে তার শব্দগুলো বিভিন্ন চরণ- বিন্যাসে দোলায়িত হচ্ছে তাই আমি দেখব। এভাবে আমরা ফররুখকে সকল শ্রেণীর পাঠকের কবি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি। ‘সাত-সাগারের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থে সমুদ্র- যাত্রা পথে যে বিভিন্ন অনুষঙ্গ এসেছে তাদের রূপ-লাবণ্য অত্যন্ত মধুর। তিনি যে সমস্ত কবিতা লিখেছেন তার মধ্যে ইসলাম ধর্মের শক্তি এবং বিনয় প্রকাশিত হয়েছে কিনা অনেকের কাছে তা বিচার্য বিষয় হতে পারে এবং তা অন্যায়ও নয় ।

আমি কিন্তু ফররুখকে অন্যভাবে দেখি। যৌবনের উদ্বেলিত আনন্দের একজন গতিমান কবি হিসেবেই আমি তাঁকে বিচার করি। সাত-সাগরের মাঝি’ তে একটি যাত্রার বর্ণনা আছে। জেমস এলোবি ফ্লেকার যে ধরনের কবিতা লিখেছেন, ফররুখের কবিতার সঙ্গে তার মিল। ফ্লেকার বলেছিলেন, আমরা স্বর্ণখচিত পথ ধরে সমরখন্দ ভূ- খন্ডের দিকে যাত্রা করছি। ফররুখ লিখেছেন, আমি সাত সাগর পার হয়ে হেবার রাজতোরণের দিকে যাচ্ছি। প্রায় একই রকমের আবেগ দু’জনের কবিতায় আছে। তফাৎ শুধু এটুকুই ফ্লেকারের কবিতায় শুধুমাত্র একটি সৌন্দর্য সৃষ্টি আছে, ফররুখের কবিতায় সত্য ও বিশ্বাসের অনুষঙ্গ হিসেবে সৌন্দর্য প্রস্ফুটিত হয়েছে।

ফররুখের সকল কবিতার মধ্যে দীর্ঘ পথযাত্রার বিবরণ আছে। যেমন সাত সাগরের মাঝিতে দীর্ঘ সমুদ্র যাত্রা আছে, তেমনি হাতেম তা’য়ী কাব্যগ্রন্থে বিভিন্ন দুর্গম পথযাত্রা আছে। এই পথযাত্রা অথবা সমুদ্র-যাত্রা ফররুখের কবিতার একটা মৌলিক বিষয় । হোমারের ‘ওডিসি’ মহাকাব্যে যেমন সমুদ্র যাত্রা প্রাধান্য পেয়েছে এবং সমুদ্র-পথের বিভিন্ন সংকট অতিক্রম করে অবশেষে ইউলিসিস নিজ গৃহে ফিরে আসছেন, তেমনি ফররুখ আহমদ বিভিন্ন যাত্রার শেষে শান্তি এবং আশ্বাসের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করছেন। আমি এভাবেই ফররুখকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিচরণ করতে দেখি। এই বিচরণের কারণ হল সে সর্বপ্রকার সংক্ষুব্ধতা অতিক্রম করতে চায়, বিপর্যয় অতিক্রম করতে চায় এবং অবশেষে শান্তির রাজ্যে গমন করতে চায়।

আমার ধারণায় ফররুখ একজন পর্যবেক্ষণকারী দুর্গম পথযাত্রার কবি। আমি তাঁকে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের আবহে গ্রহণ করতে চাই না। আমি তাঁকে গ্রহণ করতে চাই সত্য, শৃংখলা এবং সৌন্দর্যের আবহে। এই আবহ তাঁর কবিতায় একটি সুকুমার ছন্দ এবং সৌন্দর্যের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছিল। এভাবেই ফররুখ আমাদের কাছে একটি প্রশান্ত আবেগের কবি, সৌন্দর্যের কবি এবং সৌন্দর্যের মহিমাময় নিদর্শনের কবি। এভাবেই তাঁকে বিচার করতে হবে এবং গ্রহণ করতে হবে।

সর্ব্বশেষ প্রকাশিত