proggapath, progga, bangla literature, bangla kobita, bangla golpo, babgla story, romantic golpo, প্রজ্ঞাপাঠ, বাংলা সাহিত্য, কবিতা, বাংলা কবিতা, প্রজ্ঞা, গল্প, বাংলা গল্প, রহস্য গল্প, রম্য রচনা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, শিল্প-সাহিত্য, নাটক, চিঠি, poem, Story, golpo, bangla poem, bangla Story, Rahasya golpo, Rommo Rocona, Articles, Prabandha, Novel, Upanyas, Drama, Natok, Letter, Cithi, Art and literature, silpo-sahityo, বুদ্ধদেব গুহ, buddhadeb guha, সবিনয় নিবেদন, sobinoy nibedon, পত্রোপন্যাস, patropanyas,

সবিনয় নিবেদন

০ মন্তব্য দর্শক

প্রথম অঙ্কন

বালীগঞ্জ প্লেস, কলকাতা
৩০শে অক্টোবর, ১৯৮৭

সবিনয় নিবেদন,
গত শনিবার রাতে পালাম্যু ন্যাশানাল পার্ক-এর মধ্যে আপনি যাদের হাতির দলের হাত থেকে উদ্ধার করে বেতলা পৌঁছে দিয়েছিলেন আপনারই জীপে করে, আমি সেই দলেরই একজন ।
আমাদের সকলের হয়ে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাবার জন্যেই এই চিঠি । আপনি না থাকলে আমাদের অবস্থা হয়তো চিত্রপরিচালক তপন সিংহের মতোই হতো। আপনি হঠাৎ অকুস্থলে এসে না পড়লে সে রাতে আমরা হাতির হাত থেকে বাঁচলেও হয়তো শীতের হাতেই নির্ঘাৎ মারা যেতাম । সত্যিই আমরা কৃতজ্ঞ। বাঃ বাঃ ! আপনাদের ওখানে শীত বড় সাংঘাতিক ।
আপনার ঠিকানা জানিনা । চলে যাবার সময় শুধু নামটিই জানিয়েছিলেন । বনবিভাগেই যে চাকরি করেন শুধুমাত্র এই অনুমানটুকু সম্বল করেই চিঠিটি লিখছি । পাবেন কি না জানিনা ।
একটু বিরক্তও করব । আপনার জীপে আমার একটি ব্যাগ কি ফেলে এসেছিলাম ? অফ্-হোয়াইট-রঙা একটি ব্যাগ ? চামড়ার । কাঁধে-ঝোলানো । মধ্যে কিছু টুকিটাকি জিনিস ছিলো আমার । আর দুটি বইও । একটি বাংলা বই । অমিয়নাথ সান্যাল মশায়ের “স্মৃতির অতলে” । অন্যটি আর্নেস্ট হেমিংওয়ের জীবনী । কার্লোস বেকার-এর লেখা । ব্যাগটি অন্য কোথায়ও হারিয়ে থাকতে পারি ।
আপনার জীপে যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে এ নিয়ে অযথা বিব্রত হবেন না । আমিই বরং অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনাকে বিরক্ত করার জন্যে।
আমার পুরো ঠিকানা লেখা কার্ড সঙ্গে দিলাম । ব্যাগটি যে পেয়েছেন সেই খবরটুকু আপনার কাছ থেকে পেলে আমিই ওটি আনিয়ে নেবার বন্দোবস্ত করব । এই চিঠি যদি আদৌ পান তবে প্রাপ্তিসংবাদটুকু জানালে খুবই খুশি হব ।

—নমস্কারান্তে

ঋতি রায়, বালীগঞ্জ প্লেস, কলকাতা

শ্রীরাজর্ষি বসু
C/o ডি. এফ. ও. টাইগার প্রজেক্ট, পালাম্যু
ন্যাশনাল পার্ক, ডালটনগঞ্জ,
জেলা-পালাম্যু, বিহার

সর্ব্বশেষ প্রকাশিত

সবিনয় নিবেদন

দর্শক

প্রথম অঙ্কন

বালীগঞ্জ প্লেস, কলকাতা
৩০শে অক্টোবর, ১৯৮৭

সবিনয় নিবেদন,
গত শনিবার রাতে পালাম্যু ন্যাশানাল পার্ক-এর মধ্যে আপনি যাদের হাতির দলের হাত থেকে উদ্ধার করে বেতলা পৌঁছে দিয়েছিলেন আপনারই জীপে করে, আমি সেই দলেরই একজন ।
আমাদের সকলের হয়ে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাবার জন্যেই এই চিঠি । আপনি না থাকলে আমাদের অবস্থা হয়তো চিত্রপরিচালক তপন সিংহের মতোই হতো। আপনি হঠাৎ অকুস্থলে এসে না পড়লে সে রাতে আমরা হাতির হাত থেকে বাঁচলেও হয়তো শীতের হাতেই নির্ঘাৎ মারা যেতাম । সত্যিই আমরা কৃতজ্ঞ। বাঃ বাঃ ! আপনাদের ওখানে শীত বড় সাংঘাতিক ।
আপনার ঠিকানা জানিনা । চলে যাবার সময় শুধু নামটিই জানিয়েছিলেন । বনবিভাগেই যে চাকরি করেন শুধুমাত্র এই অনুমানটুকু সম্বল করেই চিঠিটি লিখছি । পাবেন কি না জানিনা ।
একটু বিরক্তও করব । আপনার জীপে আমার একটি ব্যাগ কি ফেলে এসেছিলাম ? অফ্-হোয়াইট-রঙা একটি ব্যাগ ? চামড়ার । কাঁধে-ঝোলানো । মধ্যে কিছু টুকিটাকি জিনিস ছিলো আমার । আর দুটি বইও । একটি বাংলা বই । অমিয়নাথ সান্যাল মশায়ের “স্মৃতির অতলে” । অন্যটি আর্নেস্ট হেমিংওয়ের জীবনী । কার্লোস বেকার-এর লেখা । ব্যাগটি অন্য কোথায়ও হারিয়ে থাকতে পারি ।
আপনার জীপে যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে এ নিয়ে অযথা বিব্রত হবেন না । আমিই বরং অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনাকে বিরক্ত করার জন্যে।
আমার পুরো ঠিকানা লেখা কার্ড সঙ্গে দিলাম । ব্যাগটি যে পেয়েছেন সেই খবরটুকু আপনার কাছ থেকে পেলে আমিই ওটি আনিয়ে নেবার বন্দোবস্ত করব । এই চিঠি যদি আদৌ পান তবে প্রাপ্তিসংবাদটুকু জানালে খুবই খুশি হব ।

—নমস্কারান্তে

ঋতি রায়, বালীগঞ্জ প্লেস, কলকাতা

শ্রীরাজর্ষি বসু
C/o ডি. এফ. ও. টাইগার প্রজেক্ট, পালাম্যু
ন্যাশনাল পার্ক, ডালটনগঞ্জ,
জেলা-পালাম্যু, বিহার

সর্ব্বশেষ প্রকাশিত