দ্বিতীয় অঙ্কন
বেতলা, পালাম, বিহার
৪/১১/৮৭
সুপ্রিয়া
আপনার চিঠি পেয়েছি । ধন্যবাদ । মানে, ধন্যবাদের জন্যে ধন্যবাদ । তবে ধন্যবাদ পাবার মতো কিছু করেছি বলে তো মনে পড়ে না । আপনাদের সাদা-রঙা অ্যাম্বাসাডার আমার পথ জুড়ে ছিলো । নিজের স্বার্থেই যা করার তা করেছিলাম । পরোপকারের মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নয় । আপনার ব্যাগটি পরদিন সকালেই জীপের পেছনে পাওয়া যায় । আমি সে রাতে আপনাদের বেলার ট্যুরিস্ট লজ-এ নামিয়ে দিয়েই ডালটনগঞ্জে এসেছিলাম । পরদিন হেডকোয়ার্টাস্-এ কাজ ছিলো বলে । পরদিন সন্ধেবেলা বেতলাতে ফিরেই সোজা ট্যুরিস্ট লজ-এ গেছিলামও আপনাদের খোঁজ করতে। কিন্তু গিয়ে শুনলাম যে আপনারা দুপুরেই খাওয়াদাওয়ার পর চলে গেছেন রাঁচীতে ।
ব্যাগটি আমার কাছেই আছে । নেওয়ার জন্যে লোক পাঠালে যদি দিন দশেক পরে পাঠান তবে কৃতজ্ঞ থাকব। দুটি বইই পড়ে তারপরই হস্তান্তরিত করার ইচ্ছে । এমন ভালো ভালো বই তো এই জঙ্গলে বসে জোগাড় করা প্রায় অসাধ্যই ।
গাড়িটা তো দেখলাম নতুনই । ডাব্লিউ এন সি নাম্বার। খারাপ হলো কি করে ? তখন জিজ্ঞেস করা হয়নি।
আমাদের “হাতি তুলে” কিন্তু মোটেই কথা বলবেন না । এখানের হাতি উত্তরবঙ্গের হাতিদের মতো নয় । লক্ষ্মী সোনা সুন্টুনি-মুন্টুনি হাতি সব। আপনি বোধহয় জানেন না যে চিত্রপরিচালক তপন সিংহকে জংলী হাতিরা কিছুই বলেনি। বলেছিল একটি পোষা হাতিই। শুটিং-এর সময়ে শুঁড় দিয়ে হঠাৎ ধাক্কা মেরেছিল। আপনার সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁরা কারা ? আপনার কাকিমাকে তো আপনারই সমবয়সী বলে মনে হলো । মিথ্যে বলবো না, একটু অবাকই হয়েছিলাম ।
ঐ ভাঙ্গা গাড়ি করেই কি রাঁচী গেলেন ?
নমস্কার জানবেন—
ইতি রাজর্ষি