মঈনুল হোসেন ফাহাদ, Moynul Hossen Fahad, proggapath, progga, bangla literature, প্রজ্ঞাপাঠ, বাংলা সাহিত্য, Art and literature, silpo-sahityo, শিল্প-সাহিত্য, কবিতা, বাংলা কবিতা, poem, bangla poem, চিঠি, patropanyas, চিঠিপত্র, পত্রগুচ্ছ, potrogusso, chithipatra

চিঠিপত্র

০ মন্তব্য দর্শক

প্রিয় সব মানুষজন,
আপনাদের সুদিন দীর্ঘ হোক, চাই ভালো সব সময়ের মাঝে— আপনারা নিজেদের আরো বেশি জানুন। যারা দুঃখের রঙে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন অনেকটা, তাদের দুঃখ কমে যাক— এই প্রত্যাশায় সবচেয়ে সুন্দর হাওয়া যে মাসে, সে নভেম্বরের শীতল সব দিনে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই— বিগত অসময়ে সঙ্গে থাকার জন্য।

যারা ভালো সময়কে দীর্ঘ করতে সাহায্য করেছেন, তাদের ধন্যবাদ। একটা পাখি যে উড়লে গাছের সৌন্দর্য বাড়ে— তা দেখার দৃষ্টিভঙ্গি তো পেলাম মনে হয়। আজকাল সবটা উদারতার জীবনকে নিয়ে ভাবতে থাকি। বাল্যকালে দেখতাম— কিছু মানুষ খুব নিরবে, বিনয়ে হেঁটে যেতো নিজের পথে, গন্তব্যে। তাদের উপস্থিতি পুরো একটা পথকে আলাদা সৌন্দর্য দিতো এবং আমি সবসময় তেমন কেউ হতে চেয়েছিলাম— যে কারো ক্ষতির কারণ হয় না কোনোদিন। একটা সহজ এবং সুন্দর সব জীবনদর্শন পেলাম যাদের দেখে— তাদের সবসময় ধন্যবাদ এবং আমার মনে হয়—জীবন তারা উপভোগ করছে সবটা।

পৃথিবীর সুন্দর সব মানুষেরা, ভালো থাকবেন। যতটা ভালো থাকলে মূলত এই জীবনকে ভারী কিছু মনে হবে না। আমি চাইতাম—পথের পাশের ফুল, দুলতে থাকুক হাওয়ায়। তেমনভাবে যারা এই পৃথিবীর মলিন সব সন্ধ্যা কাটিয়ে দারুণ সব মুহুর্ত উপহার দিতে চায় অন্যদে—খোদা তাদের স্থির রাখুক গন্তব্যে।

মাঝেমধ্যে আপনার মনে হবে— এই জীবন অহেতুক, মনে না হওয়া বরং সমস্যার। ঢেউ না থাকলে যে নদী একদিন মরে যায়, তা স্পষ্ট। জীবনের গানে, নানান সুরে— উত্থান-পতনে সৌন্দর্য লুকায়িত।

ভালো থাকুন, হয়তো আমাদের আর দেখা হবে না। এমনও হতে পারে— আমাকে ভুলে গেছেন পুরোটা। কিন্তু আমি আপনাদের খুব কাছের কেউ, কিংবা বহুদূরে দাঁড়িয়ে আপনাদের সুসময় দেখা বা দেখার অপেক্ষায় থাকার মানুষ।

 

ইতি
এই পৃথিবীর সবচেয়ে চঞ্চল কোনো মানুষ, যে স্থিরতার সন্ধান করে।

মঈনুল হোসেন ফাহাদ

সর্ব্বশেষ প্রকাশিত

চিঠিপত্র

দর্শক

প্রিয় সব মানুষজন,
আপনাদের সুদিন দীর্ঘ হোক, চাই ভালো সব সময়ের মাঝে— আপনারা নিজেদের আরো বেশি জানুন। যারা দুঃখের রঙে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন অনেকটা, তাদের দুঃখ কমে যাক— এই প্রত্যাশায় সবচেয়ে সুন্দর হাওয়া যে মাসে, সে নভেম্বরের শীতল সব দিনে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই— বিগত অসময়ে সঙ্গে থাকার জন্য।

যারা ভালো সময়কে দীর্ঘ করতে সাহায্য করেছেন, তাদের ধন্যবাদ। একটা পাখি যে উড়লে গাছের সৌন্দর্য বাড়ে— তা দেখার দৃষ্টিভঙ্গি তো পেলাম মনে হয়। আজকাল সবটা উদারতার জীবনকে নিয়ে ভাবতে থাকি। বাল্যকালে দেখতাম— কিছু মানুষ খুব নিরবে, বিনয়ে হেঁটে যেতো নিজের পথে, গন্তব্যে। তাদের উপস্থিতি পুরো একটা পথকে আলাদা সৌন্দর্য দিতো এবং আমি সবসময় তেমন কেউ হতে চেয়েছিলাম— যে কারো ক্ষতির কারণ হয় না কোনোদিন। একটা সহজ এবং সুন্দর সব জীবনদর্শন পেলাম যাদের দেখে— তাদের সবসময় ধন্যবাদ এবং আমার মনে হয়—জীবন তারা উপভোগ করছে সবটা।

পৃথিবীর সুন্দর সব মানুষেরা, ভালো থাকবেন। যতটা ভালো থাকলে মূলত এই জীবনকে ভারী কিছু মনে হবে না। আমি চাইতাম—পথের পাশের ফুল, দুলতে থাকুক হাওয়ায়। তেমনভাবে যারা এই পৃথিবীর মলিন সব সন্ধ্যা কাটিয়ে দারুণ সব মুহুর্ত উপহার দিতে চায় অন্যদে—খোদা তাদের স্থির রাখুক গন্তব্যে।

মাঝেমধ্যে আপনার মনে হবে— এই জীবন অহেতুক, মনে না হওয়া বরং সমস্যার। ঢেউ না থাকলে যে নদী একদিন মরে যায়, তা স্পষ্ট। জীবনের গানে, নানান সুরে— উত্থান-পতনে সৌন্দর্য লুকায়িত।

ভালো থাকুন, হয়তো আমাদের আর দেখা হবে না। এমনও হতে পারে— আমাকে ভুলে গেছেন পুরোটা। কিন্তু আমি আপনাদের খুব কাছের কেউ, কিংবা বহুদূরে দাঁড়িয়ে আপনাদের সুসময় দেখা বা দেখার অপেক্ষায় থাকার মানুষ।

 

ইতি
এই পৃথিবীর সবচেয়ে চঞ্চল কোনো মানুষ, যে স্থিরতার সন্ধান করে।

মঈনুল হোসেন ফাহাদ

সর্ব্বশেষ প্রকাশিত