Padmar Chor, পদ্মার চর, বন্দে আলী মিয়া, bandey ali miah, proggapath, progga, প্রজ্ঞাপাঠ, bangla literature, bangla kobita, বাংলা সাহিত্য, কবিতা, বাংলা কবিতা, প্রজ্ঞা, শিল্প-সাহিত্য, poem, bangla poem

পদ্মার চর

০ মন্তব্য দর্শক

বারম্বার ডাকো মোরে দীর্ঘ বালুচর
ম্লান বেলা শেষে
কী বাণী কহিতে চাহে ও-তব প্রান্তর ওষ্ঠে ক্ষীণ হেসে !
মুমূর্ষু র কাতরতা ঘনায়ে নয়ানে
চাপা কণ্ঠে কী মিনতি কহে মোর কাণে
পূর্বব বায়ে আসে হেথা আচম্বিতে যেন
রুদ্ধ শ্বাস ভেসে।
ম্লান বেলা শেষে।

নিঃশেষে দেয়নি ঢেলে সব জল তার
রৌদ্র শিশু ডাকি,
মৃতবৎসা মাতা সম শীর্ণ স্তন ভার
দুগ্ধ রাখে ঢাকি।
সবুজের আলিম্পনা তৃণ দুৰ্ব্বাদল
বক্ষপুটে তোলে তার মৌন কোলাহল
উৰ্ম্মি সম কাঁচা বালু ঝিকি মিকি জ্বলে
স্বপ্ন স্মৃতি মাখি।
রৌদ্র শিশু ডাকি।

ওপারের গ্রামখানি তাপস-নীরব
স্তব্ধ মসি মাখা
তালবৃত্তে হিল্লোলিছে ভোরের উৎসব
দীপ্ত বেণু শাখা ।
অন্ধকার শাল বীথি করি নভঃ ভেদ
গ্রীবা তুলি দাঁড়িয়েছে কঠিন নিষেধ—
নীলাম্বরি শাড়ী প্রান্তে আকুঞ্চিত ঘন
পাড় যেন আঁকা —
স্তব্ধ মসি মাখা।

শীর্ণ খালে ভাসাইয়৷ ক্লান্ত গাভী পাল
চড়ি পৃষ্ঠ ‘পরে
সন্তরিয়া ওপারেতে কিশোর রাখাল
নামে বালুচরে,
নিদ্রাহীন দ্বিপ্রহরে স্তব্ধ সারাবেলা
রৌদ্রে দহি করে সুধু গোচারণ খেলা
দিন শেষে দিগন্তের ম্লান মুখে চাহি—
ফেরে গৃহ তরে।
নিত্য এই করে।

গুটাইয়া বস্ত্ৰ প্ৰান্ত তুলি জঙ্ঘা দেশ
নামি পদ্মা জলে
হাটবারে পারাপার দুর্গতির শেষ
তবু এরা চলে।

জল ভাঙি বালুচরে দূর দিশাহারা
ডুলি লয়ে গ্রামান্তরে চলিচে বেহারা
হাটুরে বেসাতি লয়ে ফেরে ক্ষুব্ধ একা
অন্ধ নভঃ তলে।
নামি পদ্মা জলে।

এপারে বসতি ঘন গোয়ালের ঘর—
মুচি ডোম পাড়া
দুপুরের খর তপ্ত নিঝুম প্রহর
নাহি কারো সারা ।
ফিরে গেছে সিক্তবাসে স্নানার্থিনী বালা
বধূ চলে কক্ষে ঘড়া পথ সে নিরালা
কুঞ্জছায়ে অবিরাম কপোত দম্পতী
ঢালে ফন্তু ধারা।
নাহি কারো সারা ।

সর্ব্বশেষ প্রকাশিত

পদ্মার চর

দর্শক

বারম্বার ডাকো মোরে দীর্ঘ বালুচর
ম্লান বেলা শেষে
কী বাণী কহিতে চাহে ও-তব প্রান্তর ওষ্ঠে ক্ষীণ হেসে !
মুমূর্ষু র কাতরতা ঘনায়ে নয়ানে
চাপা কণ্ঠে কী মিনতি কহে মোর কাণে
পূর্বব বায়ে আসে হেথা আচম্বিতে যেন
রুদ্ধ শ্বাস ভেসে।
ম্লান বেলা শেষে।

নিঃশেষে দেয়নি ঢেলে সব জল তার
রৌদ্র শিশু ডাকি,
মৃতবৎসা মাতা সম শীর্ণ স্তন ভার
দুগ্ধ রাখে ঢাকি।
সবুজের আলিম্পনা তৃণ দুৰ্ব্বাদল
বক্ষপুটে তোলে তার মৌন কোলাহল
উৰ্ম্মি সম কাঁচা বালু ঝিকি মিকি জ্বলে
স্বপ্ন স্মৃতি মাখি।
রৌদ্র শিশু ডাকি।

ওপারের গ্রামখানি তাপস-নীরব
স্তব্ধ মসি মাখা
তালবৃত্তে হিল্লোলিছে ভোরের উৎসব
দীপ্ত বেণু শাখা ।
অন্ধকার শাল বীথি করি নভঃ ভেদ
গ্রীবা তুলি দাঁড়িয়েছে কঠিন নিষেধ—
নীলাম্বরি শাড়ী প্রান্তে আকুঞ্চিত ঘন
পাড় যেন আঁকা —
স্তব্ধ মসি মাখা।

শীর্ণ খালে ভাসাইয়৷ ক্লান্ত গাভী পাল
চড়ি পৃষ্ঠ ‘পরে
সন্তরিয়া ওপারেতে কিশোর রাখাল
নামে বালুচরে,
নিদ্রাহীন দ্বিপ্রহরে স্তব্ধ সারাবেলা
রৌদ্রে দহি করে সুধু গোচারণ খেলা
দিন শেষে দিগন্তের ম্লান মুখে চাহি—
ফেরে গৃহ তরে।
নিত্য এই করে।

গুটাইয়া বস্ত্ৰ প্ৰান্ত তুলি জঙ্ঘা দেশ
নামি পদ্মা জলে
হাটবারে পারাপার দুর্গতির শেষ
তবু এরা চলে।

জল ভাঙি বালুচরে দূর দিশাহারা
ডুলি লয়ে গ্রামান্তরে চলিচে বেহারা
হাটুরে বেসাতি লয়ে ফেরে ক্ষুব্ধ একা
অন্ধ নভঃ তলে।
নামি পদ্মা জলে।

এপারে বসতি ঘন গোয়ালের ঘর—
মুচি ডোম পাড়া
দুপুরের খর তপ্ত নিঝুম প্রহর
নাহি কারো সারা ।
ফিরে গেছে সিক্তবাসে স্নানার্থিনী বালা
বধূ চলে কক্ষে ঘড়া পথ সে নিরালা
কুঞ্জছায়ে অবিরাম কপোত দম্পতী
ঢালে ফন্তু ধারা।
নাহি কারো সারা ।

সর্ব্বশেষ প্রকাশিত