নবম অঙ্কন :
বালীগঞ্জ প্লেস
৪/১২/৮৭
রাজর্ষি, প্রীতিভাজনেষু,
কেন, উত্তর নেই কোনো? কী ব্যাপার! ব্যাপার কি ?
রাগ হলো নাকি আমার ওপরে কোনো অজ্ঞাত কারণে। যে-সম্পর্ক দানাই বাঁধলো না এখনও চিঠি-চাপাটিতে সবে “ওয়ার্মিং আপ দ্য ব্যারেলসই” হচ্ছে তার মধ্যেই তা ছিন্ন হয়ে গেলে আমার বলার কিছুই নেই । তাহলে বলতেই হবে যে পত্রমিতালির ভাগ্য আমার খুবই খারাপ ।
আমি কিন্তু বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে । এবং আদুরে মেয়ে । আমার সঙ্গে কেউ অন্যায় বা খারাপ ব্যবহার করলে আমি কিন্তু ‘ভ্যাঁ’ করে কেঁদে ফেলি । এখনও । আশা করি আপনি তা করবেন না । আমার সমস্ত খবরাখবরই আমি আপনাকে অযাচিতভাবে দিয়ে বোধহয় আপনার কাছে নিজেকে সস্তা করে ফেলেছি। ভারী লজ্জা করে ।
আপনি বসে আছেন প্রাগৈতিহাসিক কাছিমের মতো । শক্ত খোলার ভিতরে সুরক্ষিত হয়ে । নিজের অন্তরঙ্গকে পুরোপুরিই লুকিয়ে । বহিরঙ্গর পিঠ উঁচিয়ে । খুব খারাপ আপনি ! বাবার হাঁটুর কিন্তু দারুণ উন্নতি হয়েছে । বাবা আপনাকে জানাতে বললেন । এখন বেশ সহজেই চলা-ফেরা করতে পারছেন । দোতলা একতলাও করেছিলেন কালকে । এবারে কলকাতায় এসে এই প্রথম নিজের ঘরে বসে না খেয়ে ডাইনিং রুমে নেমে এসে, সকলের সঙ্গে একসঙ্গে বসে খেলেন । বলছেন, এইরকম উন্নতি হলে দুতিনদিনের মধ্যে হাঁটতেও যাবেন লেক্-এ ।
অনেকই ধন্যবাদ আপনাকে । আমার বাবাকে ভালো করে তোলার জন্যে । কলকাতার কোনো ডাক্তারই যা পারেননি আপনার “হাজামৎ” ডাক্তার তাইই করে দিলেন । ভালো থাকবেন ।
ইতি—ঋতি
পুনঃ “হাজামৎ” শব্দটির অর্থ কি ?