অষ্টম অঙ্কন :
২৯/১১/৮৭
বালীগঞ্জ প্লেস, কলকাতা-৭০০০১১
অরণ্যদেব,
একী রসিকতা আপনার! আজ সকালের পোস্টে আপনার পাঠানো একটি বাঘের বাচ্চার ফোটো পেয়েছি। আমি বেরসিক নই । কিন্তু রসিকতা দুর্বোধ্য হলে আখরোটের খোসার মতো তাকে মিছে দাঁত দিয়ে ভাঙতে গিয়ে দাঁত ভাঙার মতো সময় অথবা মূর্খামি দুই-এর কোনোটাই আমার নেই । আমি বাঘের বাচ্চাটির যাতে গায়ে হয় তেমন মাপেরই একটা হাফ স্লিভস সোয়েটার বুনে শিগগিরই পাঠাবো। ফুল-স্লিভস্ কোনো পোশাকই বোধহয় বাঘেদের পরা অভ্যেস নেই । উলের জিনিস কিছুদিন পর ধোওয়া-ধুয়ি বেশি হলে আবার লম্বা হয়ে যায় । ফুল-হাতা লম্বা হয়ে গেলে মানুষেরই অসুবিধে হয় আর বাঘের তো হবেই ! শিকারই ধরতে পারবে না বেচারী । এই বাছাধন কি আপনার পোষা ? না আপনার স্ত্রী অথবা শিশুদের খেলনা ? আপনারাও কি সিমলিপালের (যোশীপুরের) ডঃ সরোজ রাজচৌধুরীর খৈরিরই মতো একে পুষবেন বলে মনস্থ করছেন ? খৈয়ীকে আমি একাধিকবার দেখেছি। আমার বাবার সঙ্গে চৌধুরী সাহেবের বিশেষ হৃদ্যতা ছিলো
আমার বয়-ফ্রেন্ড অশেষ আগামী সপ্তাহের শনিবার চলে যাবেন । তারপর বড় করে চিঠি দেব। ফিজিসিস্ট ! নিউক্লিয়ার ফিজিসিস্ট ! আগামী বছর শীতে, আমাদের বিয়ে হয়তো হবে। হলে, আমাকেও চলে যেতে হবে হুস্টনে । তার আগেই অরণ্যে অরণ্যে যতখানি বিচরণ সম্ভব তা করে নিতে চাই।
আমার বিয়েতে আপনাকে আসতেই হবে কিন্তু । এক বছরের নোটিস দিয়ে রাখলাম । আজ শেষ করছি।
ইতি—ঋতি